জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সৌরজগতের অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার সংখ্যায় নতুন গ্রহ আবিষ্কার করে চলেছে । এদের মধ্যে কোন কোনটি বৃহস্পতি গ্রহ থেকেও বিশাল আবার কোন কোনটি বুধ গ্রহ থেকেও ছোট ।  

what-is-super-earth-and-some-amazing-facts-about-it
Image Source : wikimedia

সুপার আর্থ কি

এ সৌরজগতের বাইরে বেশ কিছু নক্ষত্র বা গ্রহ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আগ্রহী করে তুলেছে । ওই বিশেষ গ্রহগুলোতে রয়েছে পৃথিবীর অনুরূপ হরেক রকম জীব-অনুকূল বৈশিষ্ট্য । এই গ্রহগুলিতে ‘পানির অস্তিত্ব রয়েছে’ এবং আমাদের পৃথিবী থেকে ১০গুন পর্যন্ত বড়ও হতে পারে । বিজ্ঞানীরা এদের নাম দিয়েছেন ‘সুপার আর্থ’ । ‘সুপার আর্থগুলো এলিয়েন প্লানেট বা গ্রহ হিসেবেও পরিচিত ।

সুপার আর্থ সম্পর্কে কিছু তথ্য-

১. সাল ছিল ২০১৪ যখন নাসার কেপ্লার টেলিস্কোপ পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ আলোক বর্ষ দূরে সনে KP 186F নামের একটি গ্রহের খোঁজ করে যেটি পৃথিবীর মতই ঋতু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় ৷  ইতিহাসে একটাই প্রথম যখন আমরা মানুষেরা পৃথিবীর আকার ও বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন গ্রহ খোঁজে পাই ৷

২. ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কেপ্লারের দ্বারা ১২৮ আলোক বর্ষ দূরে  আরও একটি গ্রহ নাম K2 18 B খোঁজে বের করে যার সারফেসে তরল পানির অস্তিত্ত্ব পাওয়া এবং এটি পৃথিবী থেকে ৩ গুন বড় আকারের ৷

what-is-super-earth-and-some-amazing-facts-about-it
Image by nasamarshall from flickr

৩. এরকম আরও একটি গ্রহ ২০২০ সালের মাঝামাঝি ডিসকভার করা হয় নাম  KP 1649 C | এটি পৃথিবী থেকে ১.০৬ গুন বড় এবং নিজ কক্ষের সূর্য থেকে ৭৫% আলো পেয়ে থাকে ৷ যার কারনে এতে পৃথিবীর মতই আবহাওয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷

৪. সর্বশেষ নাসার অনুসন্ধানের ভিত্তিতে, মিল্কিওয়েতে বা আকাশগঙ্গায় কমপক্ষে ৫০ বিলিয়ন গ্রহ রয়েছে যার মধ্যে শুধুমাত্র পৃথিবী থেকে এক হাজার আলোকবর্ষের মধ্যেই ৩০হাজার এর বেশি ‘সুপার আর্থ’ বা বাসযোগ্য গ্রহ রয়েছে । এবং পুরো আকাশগঙ্গার মধ্যে কমপক্ষে ৫০০ মিলিয়ন বাসযোগ্য গ্রহ রয়েছে ।