সময়মতো ক্লাসে যেতে না পারা, সময়মতো অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে না পারা, সময়মতো পরীক্ষার হলে পৌছতে না পারার ফলে যেসব ঝামেলা পোহাতে হয়, তা থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য টাইম ম্যানেজমেন্ট করার বিকল্প নেই । তাই চলুন জেনে নিই সময়কে ঠিকঠাক ব্যবহার করার কিছু সহজ কৌশল ।

Image by Click on 👍🏼👍🏼, consider ☕ Thank you! 🤗 from Pixabay

 

সময় বেঁধে তালিকা তৈরি করুন

শুনতে খারাপ লাগলেও সত্য, বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীরই একটি নিত্যনৈমিত্তিক বদঅভ্যাস হলো একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে তাড়াগুড়ো করা । আপনিও যদি এ বদঅভ্যাসটি ধারণ করে থাকেন, তবে সাবধান! কোন কাজগুলো না করলেই নয়- তার একটি দৈনন্দিন তালিকা করে নিন আগের রাতেই । সেই তালিকায় গুরুত্বের বিচারে দিনের ঘুম ভাঙতেই তালিকা ধরে, একটা একটা করে শেষ করুন কাজ ।

চাই পড়াশোনায় মনোযোগ

ক্লাস, গ্রুপ স্টাডি, অ্যাসাইনমেন্ট, পরীক্ষা ইত্যাদি কাজে দিনে গড়ে আট থেকে দশ ঘন্টা ব্যয় হয়ে যায় একেকজন শিক্ষর্থীর । এই ব্যস্ততার চাপে আপনি যদি ঘাবড়ে যান কিংবা ভেঙে পড়েন, তাহলে তো সর্বনাশ! এক কাজ করুন, শক্ত হোন মনে মনে ।জানেনই তো, এ ব্যস্ততার ভেতর দিয়েই শিক্ষাজীবন কাটাতে হবে । তই মেনে নিন বাস্তবতাকে । তবে চাপে থাকবেন না; বরং সময় ধরে ধরে, শান্ত-সুস্থির মস্তিষ্কে কাজগুলো সারতে থাকুন । তাহলে দেখবেন, আপনারও হাঁসফাঁস লাগছে না, আবার পড়াশোনার মানও প্রতিনিয়ত বাড়ছে ।

Image by Darkmoon_Art from Pixabay

একই কাজ বারবার করার চেয়ে শ্রেষ্ঠ সময় বাছাই করুন

একই কাজ অকারণে বারবার করার কোনো মানে নেই । এতে যেমন সময় নষ্ট হয়, তেমনি মেজাজও বিগড়ে যাওয়া স্বাভাবিক! বরং, ধরুন, লাইব্রেরিতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে আপনার, কিংবা নিতে হবে লাইব্রেরিয়ানের স্বাক্ষর, আর আপনার ক্লাসরুম থেকে লাইব্রেরিটা একটু দূরেই বটে; এমন পরিস্থিতিতে আগে থেকেই নিশ্চিত হয়ে নিন, কোন সময়টিতে লাইব্রেরিতে গেলে কাজটি একবারেই হয়ে যাবে, কিংবা ঠিক কোন সময়সূচিতে লাইব্রেরিয়ান অবশ্যই উপস্থিত থাকেন! তাহলে এক পথে বারবার আনাগোনার বিড়ম্বনা পোহাতে হবে না আপনাকে ।

নিজের জন্য কিছু সময়

নিজের দিনটিতে পড়াশোনা কেন্দ্রিক কর্মব্যস্ততাতেই ডুবিয়ে রাখবেন না ।বরং নির্দিষ্ট কিছু সময় বের করে রাখুন একান্ত নিজের জন্য । যে সময়টিতে পড়াশোনার বাইরের কোনো বিষয় নিয়ে মগ্ন হোন । হতে পারে পরিবারকে সময় দেওয়া, একটু ব্যায়াম করা, পত্রিকা পড়া বা টিভি দেখা, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প-গুজব করা ইত্যাদি ।এতে মন ও মেজাজ চাঙ্গা হবে, আর আপনিও পারবেন পড়াশোনায় সতিকারের মনোনিবেশ করতে ।