ফলটির নাম ডালিমচীনে বলা হয় লাকি ফ্রুটফলটি যেমন দেখতে চমৎকার আর খেতেও দারুণডালিমে আছে এন্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিনখনিজ পদার্থফল হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি ফ্রুট সালাদ, স্মুদি, জুস, কাস্টার্ডেও ব্যবহার করা যায়আজ আমরা জনাবো ডালিমের বেশ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে 

 

nutrition-and-benefits-of-pomegranate
Image by Hajnal-Photography from Pixabay

সূযের্র অতিবেগুনি রশ্মি হতে ত্বককে সুরক্ষিত রাখা 

ডালিম সূযের্র অতিবেগুনি রশ্মি রোধ করে ত্বককে সম্ভাব্য ক্ষতিকর হাত থেকে রক্ষা করেএতে আছে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের যাবতীয় জীবাণুকে অপসারণ করেডালিমের মধ্যকার অ্যালার্জিক এসিড ত্বকে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা কমায় 

 

ভিটামিন সি এর ভালো উৎস 

প্রতিদিন একটি ডালিম খেলে ১৭ শতাংশ ভিটামিন সি শরীরে প্রবেশ করেআমরা জানি ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করেএকই সঙ্গে ঠান্ডাকাশির প্রকোপ থেকে সুরক্ষা দেয় 

 

ত্বককে রাখে তারুণ্যদীপ্ত 

ডালিমের রস ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় নাত্বকের কোষকে দীর্ঘায়ু করেএটি কোলাজনঅ্যালাস্টিন উৎপাদনেও সাহায্য করেএই দুটি উপাদানই ত্বককে সজীবতরুণ রাখে ডালিম ত্বকে হাইড্রেট করে । এক্ষেত্রে এটি গ্রিন-টির চাইতেও ভালো ।

 

ত্বকের প্রদাহ কমায় 

ডালিমে আছে এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ত্বকে আরাম দেয়আরও আছে ট্রিকোসেনিক এসিড ও ওমেগা-৫ ফ্যাটি এসিড যা শুষ্করুক্ষ ত্বককে আদ্রর্তা ফিরিয়ে আনে 

 

ক্যান্সার প্রতিরোধক 

ডালিমের রস ক্যান্সারের সেল তৈরি হতে দেয় নাবিশেষ করে মূত্রনালীর ক্যান্সার দমনে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে 

 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে

যারা ডায়াবেটিস রোগী তারা অনায়াসে খেতে পারেন ডালিম । কারণ এতে আছে ডায়েস্ট্রি ফাইবার যা রক্তের শর্করা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে ।

 

হৃৎপিন্ডকে ভালো রাখে

ডালিম রক্তের কোলেস্ট্রলের মাত্রা কমিয়ে আনে ও রক্তে এইচডিএল নামের এক প্রকার কোলোস্ট্রল সরবরাহ করে যা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায় । এছাড়াও ডালিম ট্যানিন, এনেথোসায়ানিনস ও পলিফেনলসের ভালো উৎস যা আপনার হৃদয়কে রাখে সুস্থ ।


ব্রণ ও ব্রণের দাগ

ডালিম হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে বিধায় পেট পরিস্কার থাকে ও ত্বকে ব্রণ দেখা দেয় না । ডালিম ভিটামিন সি যা ত্বকের তেল গ্রান্থিকে নিয়ন্ত্রণ করে ।


আলজেইমার্স

আলজেইমার্সের রোগীদের জন্য এটি খুব ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে । স্মৃতিশক্তি প্রখর করতেও এর জুড়ি নেই ।

 

ওজন কমায়

প্রতিদিন ডালিম খেলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমান পুষ্টি প্রবেশ করে ও এর মধ্যকার উপাদান শরীরে বাড়তি মেদ জমতে দেয় না । 

 

পাকস্থলী

ডালিম বিপাক প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করে । এটি ডায়েরিয়া ও বমির উপদ্রপ কমায় । এছাড়াও এটি পেটের যেকোনও সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম ।

 

রক্তনালীকে সুরক্ষিত রাখে

ডালিম রক্তনালীকে সুরক্ষিত রাখে ও প্লেক জমতে দেয় না । ফলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে যায় বহু অংশে ।

 

চুল পড়া রোধ করে 

ডালিম মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ও চুলপড়া কমায় । এটি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝরঝরে ভাবও এনে দেয় ।