শীতে ঠান্ডা প্রতিরোধের উপায়

cold-weather-winter-jacket-preview


তকালে ঠান্ডা লাগা স্বাভাবিক ব্যাপার । তবে এই ঠান্ডা থেকে এলার্জি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যাথা সমস্যা হতে পারে । তাই এই মৌসুমে থাকতে হবে বিশেষ সচেতন । শীত মৌসুমে রোগ এড়াতে মুড়িমুরকির মতো ওষুধ না খেয়ে সামান্য সচেতন হোন । ওষুধের বিকল্প হিসেবে নিচের পদ্ধতিগুলো অভ্যস্থ হলে ঠান্ডার রোগ পালাবে এমনিতেই ।

শীতে দিনের শুরু

দিন ভালোভাবে শুরু করতে ঘুম থেকে ওঠে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে এক চা চামচ মধূ বা এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন । এতে আপনার ত্বক থাকবে লাবণ্যময় ।

 

বারবার হাত ধোঁয়া

অধিকাংশ ঠান্ডাজনিত ভাইরাস সরাসরি সংস্পর্শে সংক্রমিত হয় । কারো কাছ থেকে এ ভাইরাসগুলো আমাদের নিত্যদিনের ব্যবহার্য জিনিস যেমন-টেলিফোন, মোবাইল ফোন, কিবোর্ড, টাকা-এগুলোর মাধ্যমে একজন থেকে অন্যজন ছড়িয়ে পড়ে । এ জীবাণুগুলো মানুষের দেহ ছাড়াও ঘন্টার পর ঘন্টা কখনো কখনো কয়েক সপ্তাহ বেচেঁ থাকে । এই সময়ে তাই সারা দিনই কয়েকবার করে হাত ধুতে হবে । যেহেতু শীতঋতু তাই হাত ধোঁয়ার জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন ।

 

প্রতিদিন ব্যায়াম করুন

নিত্যদিনের ব্যায়াম হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় । রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় । অক্সিজেন ফুসফুস থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কোষ থেকে কোষে । শরীরে তৈরি হয় তাপ, সেই সঙ্গে ঘাম । ফলে শরীরের তৈরি ভাইরাস ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।

 

পর্যাপ্ত পানিপান

যেহেতু শীলকালে আমাদের খুব বেশি তৃষ্ণা পায় না তাই অনেকে মনে করেন অতিরিক্ত পানি পান করার প্রয়োজন নেই । কিন্তু পানি আমাদের শরীরের ভেতরের তন্দ্রগুলো সুরক্ষায় কাজ করে । তাছাড়া শরীর থেকে বের করে দেয় ক্ষতিকর উপাদান । একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক ৮আউন্স পরিমাণের ৮গ্লাস পানি পান করা উচিত । ত্বক হাইড্রেড ও ময়েশ্চারাইজ রাখতে পর্যাপ্ত পানি করার কোনো বিকল্প নেই ।শীতে পানি পান করার প্রবণতা কমে আসে এবং অনেকেই ঘনঘন চা ও কফির মতো গরম পানীয় গ্রহণ করেন যা ত্বককে ডি-হাইড্রেট করে ।

 

গোসলে সতর্কতা

অনেকে গোসলের সময় অত্যধিক গরম পানি ব্যবহার করেন যা এক বারেই ঠিক নয় । গরম পানি ত্বকের তেল শোষণ করে ত্বক শুষ্ক করে তোলো । তাই গোসলে সবসময় সহনীয় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন ।

 

ধূমপান নয়

অতি ধূমপানীয়দের ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে । ধোঁয়া নাসাবদ্ধ শুষ্ক করে ফেলে এবং নাকের ভেতরের সিলাগুলো স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায় । ফলে অনেকের শ্বাসকষ্টও দেয়া যায় । এই সিলার স্বাভাবিক নাড়াচড়ায় ঠান্ডার ভাইরাসগুলো নাসারন্ধ্র থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয় । কিন্তু ধূমপানের ফলে এই অংশটি দুর্বল হয়ে পড়ায় প্রায় বিনা বাধায় ঠান্ডার জীবাণুগুলো ঢুকে পড়ে দেহে । ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে ছাড়তেই হবে ধূমপান ।

 

খাওয়া দাওয়া

এবার একটু খাওয়ারদাওয়ার কথায় আসা যাক । শরীর ও ত্বক সতেজ রাথতে গেলে ঠিকঠাক ডায়েট মেনে চলা খুবই জরুরি । শীতকালো নানা শাকসবজি পাওয়া যায়, যা নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন । এছাড়া নিয়মিত দুধ, ফল, মাছ, ডিম, মাংস ইত্যাদি খেতে ভুলবেন না যেন । দই উপাদেয় খাদ্য তো বটেই, তাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে বেশ কিছু গবেষণা । সেখানে বলা হয়, প্রতিদিন অল্প ফ্যাটের এক কাপ দই ঠান্ডা সংক্রমণের পরিমাণ কমিয়ে দেয় শতকরা ২৫% ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ