বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস আজ ৩১ মে । এবার বিশ্ব তামাকমুক্ত মুক্ত দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রতিপাদ্য হচ্ছে - “তামাকমুক্ত পরিবেশ, সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ” ।  বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দিনটি বিশেষ কর্মসূচি ও ঢালওভাবে উদযাপন করে থাকে ।
history-and-background-of-world-no-tobacco-day
Image by diema from Pixabay

পটভূমি : উল্লেখ্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে মানুষ ধুমপানের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং ১৯৭০-এর মাঝামাঝি ধুমপানের প্রতি মানুষের বেশি আকর্ষণ লক্ষ করা যায় । মহিলারা ধুমপান শুরু করে ১৯৩৯-১৯৪৫ এর যুদ্ধ চলাকলীন সময়ে । ক্রমশ ধুমপানে নারী পুরুষ সমানভাবে নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে । অথচ তখন মানুষ জানতো না ধুমপানে কি ক্ষতি হয় । এই ধুমপান বা তামাকের ব্যবহারের কারণেই লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যু মুখে পতিত হয় । ১৯৬২ সালে ব্রিটেনের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান ধুমপানের সাথে শারীরিক অসুস্থতার সম্পর্ক নির্ণয় করে । এরপর আমেরিকার সার্জান জেনারেল ১৯৭০ সালে বলেন “ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর” এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞগণ ১৯৭৮ সালে প্রমাণ করেন পরিবেশ যোগ্য অসুস্থতা ও অকাল মৃত্যুর কারণসমূহের মধ্যে ধুমপান অন্যতম । এভাবেই ধুমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে তৎপর হয়ে উঠে ধুমপান ও তামাকের বিরুদ্ধে জেগে ওঠে সমাজের সচেতন মানুষ । গৃহীত হয় ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ ।

সুইডেন, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ইত্যাদিসহ অনেক দেশ ধুমপানের বিরুদ্ধে গড়ে তোলে আইনগত প্রতিরোধ । এভাবে ধুমপানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধর তীব্রতা গড়ে ওঠে প্রায় তিন দশক আগে । ১৯৭৮ সালে বিষয়টি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) নজরে আসে যার কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩১ মে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস ঘোষণা করে । সেই থেকে বিশ্ব সংস্থার সকল সদস্য দেশে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হচ্ছে ।