দ্বিতীয় বিশ্বযু্দ্ধের ইতিহাসে ডি-ডে এর গুরুত্ব বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ । এটি কট্টর নাৎসি জার্মানি দ্বারা ইউরোপ নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে গড়ে তোলা জোয়ারের মোড় হিসেবে চিহ্নিত । চলুন ডি-ডের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক ।

what-is-the-d-day-history-and-significance-in-bengali
Image by Peter H from Pixabay

সূত্রপাত : অ্যাডলফ হিটলারের উগ্র জাতীয়তাবাদ নীতির জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু হয় । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ [১৯৩৯-১৯৪৫] শুরুর পরে, জার্মান নাৎসি বাহিনী ১৯৪০ সালের মে মাসে উত্তর-পশ্চিম ফ্রান্স দখল করে । ১৯৪১ সালের ডিসেম্বরে আমেরিকানরা নাৎসি বিরধী যুদ্ধে প্রবেশ করে এবং ১৯৪২ সালের মধ্যে ব্রিটিশদের সঙ্গে ইংলিশ চ্যানেল জুড়ে বড় মিত্র আগ্রাসনের পরিকল্পনা করে । পরের বছর, ক্রস-চ্যানেল আগ্রাসনের জন্য মিত্রবাহিনীদের পরিকল্পনাগুলি দ্রুততর হতে শুরু করে ।  ১৯৪৩ সালের নভেম্বরে ফ্রান্সের উত্তর উপকূলে আগ্রাসনের বিষয়ে অবহিত হিটলার; এরউইন রোমেলকে (১৮৯৯-১৯৪৪)এই অঞ্চলে নেতৃত্ব দান করেছিলেন । যদিও জার্মানরা সঠিক জানত না মিত্রবাহিনীরা কোথায় আঘাত হানবে ।

ডি-ডের নির্দিষ্ট কোন অর্থ নেই । এটি গোপন মিশনের কোড নাম । ডি-ডে-তে মিত্রবাহিনী মূলত আমেরিকান, ব্রিটিশ এবং কানাডিয়ান সেনাবাহিনী নিয়ে গঠিত ছিল তবে এতে অস্ট্রেলিয়ান, বেলজিয়াম, চেক, ডাচ, ফরাসী, গ্রীক, নিউজিল্যান্ড, নরওয়েজিয়ান, রোডসিয়ান এবং পোলিশ সহ ১২টি দেশের সৈন্য সমর্থন ছিল ।

what-is-the-d-day-history-and-significance-in-bengali
Image by World Direction from Flickr

ডি-ডের দিন

১৯৪৪ সালের ৬ জুন নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিতে প্রায় ১ লক্ষ ৫৬ হাজার যৌথবাহিনীর সদস্য ৫০ মাইল প্রসারিত পাঁচটি সমুদ্র সৈকতে ফ্রান্সে অবতরণ করে । ফ্রান্সের উত্তর উপকূলে অবস্থিত নরম্যান্ডিতে সংঘঠিত এই যুদ্ধে প্রায় ৪ হাজারের বেশি জাহাজ ও ১১হাজার যুদ্ধ বিমান ব্যবহৃত হয়; দিনশেষে প্রায় সাড়ে চার হাজার সৈন্য মারা যান, যা বিশ্বের সেনা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান হিসেবে পরিচিত । ফ্রান্সের নরম্যান্ডির উপকূলে ডি-ডে নামে খ্যাত ওই অভিযানের মধ্যে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে মিত্রবাহিনীর বিজয়ের সূচনা হয় ।